হাতে-পায়ে বালুর বস্তা বাঁধা তরুণের লাশ ভাসছিল ভৈরব নদে
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদ থেকে এক তরুণের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বিভাগদী এলাকায় ওই নদ থেকে হাতে ও পায়ে বালুর বস্তা বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
ওই তরুণের নাম হাবিবুর রহমান (২৭)। তিনি একই উপজেলার মধ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে তাঁরা ভৈরব নদে লাশটি দেখতে পান। গতকাল রাতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি খুঁজে না পেয়ে ফিরে যায়। আজ সকালে আবার লাশটি নদে ভাসতে দেখে নৌ পুলিশের কাছে খবর পাঠানো হয়। পরে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রোববার বিকেল চারটার দিকে পাওনা টাকা আদায় করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন হাবিবুর। এর পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে তাঁর স্ত্রী তামিমা আক্তার বলেন, ‘সেদিন রাতে তিনি (হাবিবুর) আর বাড়ি ফেরেননি। লোকমুখে শুনে আজ দুপুরে ভৈরব নদে ভাসতে থাকা লাশটি দেখেছি।’
অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ভৈরব নদে উপুড় অবস্থায় হাবিবুরের লাশটি ভাসছিল। তাঁর পেটের চারদিকে নাইলনের দড়ি প্যাঁচানো এবং দুই হাত ও দুই পায়ে মোট চারটি বালুর বস্তা নাইলনের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। উদ্ধারের পর তাঁর পেটের ডান পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। এ ছাড়া মাথার পেছনের দিকেও আঘাতের চিহ্ন আছে।
উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।