রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরাছবি: প্রথম আলো

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ, শাবিপ্রবি’ ব্যানারে ওই মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল চারটা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে জড়ো হতে থাকেন। এরপর সোয়া চারটার দিকে ছাত্রী হলের সড়কে একটি মিছিল বের করে তা পুনরায় গোলচত্বর হয়ে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শাবিপ্রবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ইফরাতুল হাসান রাহীম, স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মুহতাসিম ফেরদৌস মাহিন প্রমুখ।

সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘ছাত্রলীগকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সব দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা আর কোনো দলীয় ছাত্রসংগঠনকে দখলদারত্বের রাজনীতি করতে দেব না। শিক্ষকেরা যেন লাল দল, নীল দল, সাদা দল—এসব নামে রাজনীতি করতে না পারেন, এ জন্য সব ধরনের প্যানেলভিত্তিক রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে।’

দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন নিয়োগের বিষয়ে আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘সরকারের কাছে বলতে চাই, দাবি আদায়ে আমরা আর রাজপথে ফিরতে চাই না। বর্তমান সরকার বিপ্লবীদের সরকার। আপনারা শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতা বোঝেন। তিন মাস ধরে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে সেশনজটের কবলে পড়ছে। তাই সরকারের কাছে আহ্বান করব, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দলীয় প্রশাসন নিয়োগ দিন।’

ইফরাতুল হাসান রাহীম বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ে ক্যাম্পাসে প্রশাসন চাই। তবে কোনো ধরনের দলীয় প্রশাসন নয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের রাজনীতি চাই না। বিগত দিনগুলোতে দেখেছি, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন হলগুলো দখল করে রেখেছিল, যা ভালো কিছু বয়ে আনেনি।’

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরিয়াল, প্রভোস্টবডিসহ ৮৩ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে শাবিপ্রবি।