মুন্সিগঞ্জে ব্যাংক কর্মচারীকে হাতকড়া পরিয়ে পৌনে ১৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়নি

ছিনতাইপ্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দিনদুপুরে এজেন্ট ব্যাংকের এক কর্মচারীকে হাতকড়া পরিয়ে অপহরণ ও মারধর করে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের ইছাপুরা-ভবানীপুর সড়কে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার এক কর্মচারীকে অপহরণ করে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কর্মচারীর নাম আফজাল শেখ। তিনি জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রয়াত জসিমউদ্দিন শেখের ছেলে এবং ভবানীপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার কর্মচারী।

ইসলামী ব্যাংকের ভবানীপুর এজেন্ট শাখার এজেন্ট কামাল শেখ বলেন, ঘটনার পর গতকাল তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তাঁরা গতকাল মামলা করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছিল, আজ তাঁদের থানায় ডেকে ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান বলেন, বাদীপক্ষের কেউ আজ থানায় আসেননি। তাঁরা এলে পুলিশ মামলা নেবে। ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর ব্যাংকের ওই কর্মীকে যেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং যেখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল, সেসব এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। যেখানে যেখানে সিসিটিভি ছিল, সেগুলোর ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছি। ঘটনার সঙ্গে ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট বা অন্য কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করি, দোষী ব্যক্তিরা খুব দ্রুত ধরা পড়বেন। প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’

ঘটনার পর ভুক্তভোগী আফজাল শেখ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ভবানীপুর এজেন্ট শাখার জন্য গতকাল দুপুরে ইসলামী ব্যাংকের নিমতলা শাখা থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে বাসে তিনি ইছাপুরা আসেন। ইছাপুরা থেকে ভবানীপুর এজেন্ট শাখায় যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় জৈনসারের কাঁঠালতলী গ্রামে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তাঁর অটোরিকশার গতি রোধ করে ডিবির পোশাক পরা চার-পাঁচজন লোক অস্ত্রের মুখে হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। তাঁর চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করেন। পরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের একটি নির্জন স্থানে ফেলে যান।