ফরিদপুর-২: আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে শোকজ

বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান আওয়ামী লীগের নেতা জামাল হোসেন মিয়াছবি: সংগৃহীত

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল হোসেন মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। গতকাল শুক্রবার ফরিদপুর-২ আসনের জন্য গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) কাঞ্চন কুমার কুন্ডু এ নোটিশ দেন।

জামাল হোসেন মিয়া নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি যানবাহনের বিশাল শোভাযাত্রাসহ সালথা উপজেলা পরিষদে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এতে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ লঙ্ঘন হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফরিদপুর সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) আদালতের নাজির অনিমেষ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নোটিশে আগামী সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সশরীর উপস্থিত হয়ে জামাল হোসেনকে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে আদালতের জারিকারক নোটিশটি নিয়ে নগরকান্দার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে আজ সকালে জামাল হোসেন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন এত লোক হবে, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের আবেগ রোধ করতে পারিনি।’ তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা তিনি এখনো পাননি। তবে লোকমুখে শুনেছেন। নোটিশ পাওয়ার পর তিনি নির্দেশনা অনুযায়ী আদালতে গিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, জামাল হোসেন মিয়া বৃহস্পতিবার সালথা উপজেলা কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। ওই সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কয়েক শতাধিক লোকের একটি মিছিল নিয়ে সেখানে যান। এ সময় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা তাঁর নামে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি ভোট প্রার্থনা করেন। কর্মী-সমর্থকদের এমন ভিড় দেখে সাধারণ জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়, যা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে একই অভিযোগে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে শোকজ করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আদালতের নির্দেশ মেনে গতকাল বেলা তিনটার দিকে নিক্সন চৌধুরী তাঁর লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন।