হালুয়াঘাটে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু

শেরপুর জেলার মানচিত্র

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার গাবরাখালী সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঈদের দিনে এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত কৃষকের নাম মো. ফরজুল ইসলাম (৩০)। তিনি উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের কাঁটাবাড়ি এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে গাবরাখালী সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০-৩০টি হাতি দল বেঁধে ধানখেতে নেমে আসে। ফসল রক্ষায় কাঁটাবাড়ি এলাকার মানুষ হাতি তাড়াতে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় কৃষক ফরজুল হাতির খুব কাছাকাছি যান। এ সময় একটি হাতি তাঁকে ধাওয়া দিয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পদপিষ্ট করে। পরে লোকজনের ধাওয়া দিলে হাতির দল সরে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ফরজুলকে উদ্ধার করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাজিরভিটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান বলেন, কৃষক ফরজুল ইসলাম সীমান্ত এলাকায় জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালাতেন। আজ ঈদের এই দিনে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম বলেন, বন্য হাতির আক্রমণে নিহত কৃষকের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন বিভাগ থেকে তিন লাখ টাকা সহায়তা করা হবে।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ওই কৃষকের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এর আগে ১৯ এপ্রিল পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার উত্তর রানীপুর গ্রামে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে সুমন মিয়া নামের এক কিশোর নিহত হয়। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের কৃষক নওশের আলী হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত হন। এর পাঁচ দিন পর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ফসলি জমি রক্ষা করতে হাতি তাড়াতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করে সেই ফাঁদে পড়ে মৃত্যু হয় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক কৃষকের।