চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যাকাণ্ডে দলের তিন নেতাকে বহিষ্কার

রফিকুল ইসলাম মল্লিকছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (মল্লিক) খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলীর যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত তিন নেতা হলেন তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (টোটন) ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক।

দর্শনা থানা বিএনপির প্যাডে লেখা বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, ‘আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা গেছে, আপনি দলীয় গঠনতন্ত্র ও আদর্শের পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছেন। এতে দলীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে এবং দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠনতন্ত্রের আলোকে এবং দলের স্বার্থ রক্ষার্থে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাকে দলীয় পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, তিতুদহে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খুনের পরিপ্রেক্ষিতে এই তিন নেতার নাম প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের নেতাদের সম্মতিক্রমে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও যাঁদের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তাঁদের বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

রফিকুল ইসলাম মল্লিককে ৮ মার্চ বেলা ১১টায় প্রকাশ্য কুপিয়ে খুন করা হয়। টিসিবি ও ভিজিএফের কার্ড নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধে এ খুনের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন