কুমিল্লায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে কুমিল্লা শহরতলির ধর্মপুর রেলগেট এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় মো. রাসেল (৩৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছে একটি পক্ষ। রাসেলের মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সদস্য আবদুল হান্নান ওরফে সোহেলের সঙ্গে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ফখরুল ইসলাম ওরফে রুবেলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সভার আয়োজন করে আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভায় যোগ দিতে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে আবদুল হান্নানের অনুসারীরা ফখরুল ইসলামের অনুসারী বাদশা মিয়াকে মারধর করেন। এ সময় আবদুল হান্নান ও মো. রাসেল মোটরসাইকেল নিয়ে ধর্মপুর রেলক্রসিং এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় ফখরুল ইসলাম ও তাঁর অনুসারীরা দুজনকে ধাওয়া করেন। তখন আবদুল হান্নান পালিয়ে যান। তখন রাসেল মোটরসাইকেল ফেলে দিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় রাসেল পায়ে গুলিবিদ্ধ হন বলে দাবি করেছেন আবদুল হান্নান।
পরে ফখরুলের অনুসারীরা রাসেলের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আবদুল হান্নান এ ঘটনার জন্য ফখরুল ইসলাম পক্ষকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, রাসেল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এর বেশি তিনি বলতে রাজি হননি।
তবে ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের এলাকার বয়স্ক একজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে মারধর করেন আবদুল হান্নানের লোকজন। এরপর মিছিলে থাকা লোকজন তাদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়। এদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ আছে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে ঝামেলা হয়। গুলিবিদ্ধের কোনো খবর তিনি পাননি বলে জানিয়েছেন।