আশুলিয়ায় জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন, গ্রেপ্তার ৪
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার খুন হন ফয়সাল কবির। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শিবালয় উপজেলার বেচপাতা এলাকার মো. মহিউদ্দিন ওরফে মহির (৩০), বগুড়ার ধুনট উপজেলার সোনারগাঁও এলাকার শাহ আলম (২৬), আশুলিয়ার আমবাগান কবরস্থান এলাকার রাহুল (৩০) ও হাবীব (৩৪)। তাঁরা সবাই আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় থাকেন।
ফয়সাল কবির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির। এ সময় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক, পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীনুর কবির জানান, বেশ কিছুদিন ধরে আশুলিয়ায় শহিদুল ও শরীফুল পক্ষের লোকজনের মধ্যে একটি জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে গত শনিবার সকালে শরীফুলের লোকজন শহিদুলের কয়েকজনকে মারধর করেন। শরীফুলের পক্ষে ছিলেন ফয়সাল কবির। মারধরের পর শরীফুলকে খুঁজছিলেন শহিদুলের লোকজন। সন্ধ্যার দিকে শহিদুল পক্ষের মো. মহিউদ্দিন, শাহ আলম, রাহুল ও হাবীব মোটরসাইকেলে করে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় এসে ফয়সালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।
আহত ফয়সালকে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, দুটি ছুরি ও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।