২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙল টেকনাফের বাসিন্দাদের

মিয়ানমার সীমান্ত
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে আরাকান আর্মি ও সরকারের সশস্ত্র বাহিনীর লড়াইয়ে বিকট বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দে আজ রোববার ঘুম ভেঙেছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দাদের। মিসাইল, মর্টার শেল ও বোমার শব্দে সীমান্তের বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্যে আছেন।

গত বৃহস্পতিবার সারা দিন মংডুতে মর্টার শেলের গোলাবর্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান থেকেও বোমা ফেলা হয়। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার কোনো ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। আজ ভোররাত থেকে আবারও গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ অবস্থা ছিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা, টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা বিকট শব্দ শুনতে পান। এ সময় এ পারের বসতঘরগুলোয় কম্পন অনুভূত হয়। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ও সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এই তিন জনপ্রতিনিধি বলেন, সীমান্তে আজ ভোররাত থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে সীমান্তের এপারের বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্যে আছেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকাশে যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখা গেছে।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, টানা আট মাসের বেশি সময় ধরে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের আশপাশে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) বেশ কিছু সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে।

হ্নীলার দমদমিয়ার আলোর পাঠশালা স্কুলের সহকারী শিক্ষক সৈয়দ নুর বলেন, ‘ভোররাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে তুমুল যুদ্ধ চলছে। দুই দিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কে আছেন অনেক মানুষ।’

সাবরাং আচারবনিয়ার বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, ‘ওপারে মিয়ানমারে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগেও সাবরাং এলাকার আচারবনিয়া গ্রামে গোলার বিকট শব্দে অনেকের ঘরবাড়িতে ফাটল ধরেছে। মানুষ আতঙ্ক নিয়ে আছেন।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ সীমান্তে আবার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকার লোকজনের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।