নোয়াখালীতে মা–মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আরেক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা ও মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে মো. হারুন (৪৫) নামের ওই আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মো. হারুন চর ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়েরের (৫০) প্রধান সহযোগী। একই মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়েরকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হারুন মামলার ২ নম্বর আসামি। এ নিয়ে মা–মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার অপর আসামি হলেন মো. মেহেরাজ (৪৮)। তিনি ইতিমধ্যে দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মো. হারুনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। আজ সকালে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হারুনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর নোয়াখালী নিয়ে আসা হচ্ছে। তাঁকে নোয়াখালী আনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর আদালতে হাজির করা হবে।
নির্যাতনের শিকার নারীর মায়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার দিবাগত রাতে এক ব্যক্তি সিঁধ কেটে তাঁর মেয়ের ঘরে ঢোকেন। এরপর তিনি দরজা খুলে দিলে আরও দুজন প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা তাঁর মেয়ে (৩০) ও নাতনির (১২) হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় তাঁর জামাতা বাড়িতে ছিলেন না। তিন-চার দিন ধরে তিনি কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। ধর্ষণে অভিযুক্তদের মধ্যে আবুল খায়ের ও মো. হারুনকে চিনতে পারেন মা–মেয়ে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দুপুরে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলায় আবুল খায়ের ও মো. হারুনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি একজনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের রাতে সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আলোচিত ওই ঘটনার মামলার রায়ে গত সোমবার ১০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার। আলোচিত মামলার রায়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই একই উপজেলায় আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়।