সুনামগঞ্জের সাবেক মেয়র নাদের বখতসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা রিমান্ডে

সুনামগঞ্জে রিমান্ড শুনানি শেষে সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত (বাঁয়ে) ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক জুবের আহমদকে কারাগারে নিচ্ছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণেছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাদের বখতসহ দলটির পাঁচ নেতার দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে তাঁদের হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নাদের বখত ছাড়া অন্যরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহারুল ইসলাম ওরফে আফজাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোয়েব আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ ওরফে অপু, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদুল ইসলাম ওরফে মছিবুর। রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী মনিষ কান্তি দে।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তাঁরা। মামলায় গত ২৯ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাঁরা জামিন চাইলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিন আসামিদের এজলাসকক্ষ থেকে বের করে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালতের বারান্দায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া হয়। আসামিদের কেউ কেউও স্লোগান দিয়েছিলেন। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে আদালতের নজরে আনেন বিএনপির আইনজীবীরা। আদালতের বারান্দায় দলীয় স্লোগান দেওয়ায় আদালতের কার্যক্রম ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবীরা।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত জহুর আহমদের ভাই জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জের দুজন সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আসামি আরও ১৫০ থেকে ২০০ জন।

মামলায় প্রথম গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সুনামগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান ওরফে মানিক। বর্তমানে তাঁরা জামিনে আছেন। তবে পৌর মেয়র নাদের বখতসহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে আছেন।