সিলেট বিমানবন্দরে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে মেডিকেল স্ক্রিনিং চালু, প্রস্তুত আইসোলেশন কক্ষ

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আজ দুপুর ১২টার দিকে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে সচেতনতামূলক একটি মতবিনিময় সভা হয়ছবি: সংগৃহীত

মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো যাত্রীর মাধ্যমে যেন বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ না হয়, সে জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে মেডিকেল স্ক্রিনিং ব্যবস্থা, প্রস্তুত করা হয়েছে আইসোলেশন কক্ষ।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিমানবন্দরে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে আয়োজিত সচেতনতামূলক এক মতবিনিময় সভায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়মিত যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ (সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান) থেকে ফ্লাইট পরিচালিত হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এয়ারলাইনস অপারেটরসমূহ, সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় সভাটি হয়। এতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন সিলেটের সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) বিনায়ক ভট্টাচার্যসহ অনেকে।

সভায় জানানো হয়, সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রতিরোধে বিমানবন্দরে ১৭ আগস্ট থেকে মেডিকেল স্ক্রিনিং চালু করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য একটি আইসোলেশন কক্ষও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সব যাত্রীর তাপমাত্রা থার্মাল স্ক্যানারের দ্বারা স্ক্রিন করা হয় এবং প্রয়োজন হলে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠানো হবে।

মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রতিরোধে সভা থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো, মেডিকেল মাস্ক পরা, ত্বক থেকে ত্বকে সংস্পর্শ এড়ানো, ডিসপোজেবল গ্লাভস ব্যবহার করা এবং সাবান, পানি বা অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ডর‍্যাব দিয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে।