প্রতিবেশীর ছোড়া আগুনে ঝলসে গেছে মুখ, হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন গৃহবধূ
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার গৃহবধূ জটি হালদার (৬০) চার দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে আগুনে পোড়া মুখ নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ঝগড়ার জেরে প্রতিবেশীর দেওয়া আগুনে তাঁর মুখমণ্ডল পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ।
জটি হালদার গোবিন্দপুর এলাকার অনিল হালদারের স্ত্রী। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছে তাঁর পরিবার।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা জটি হালদারের প্রতিবেশী বাদল হালদার ও তাঁর বোন দিপালী হালদার জটির ঘরের পাশে রান্নাঘর নির্মাণ করছিলেন। এ সময় জটি হালদার তাঁদের ঘরটি একটু দূরে নির্মাণ করতে বলেন, যাতে রান্নাঘরের ধোঁয়ায় তাঁর ক্ষতি না হয়। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাদল ও দিপালীসহ কয়েকজন জটিকে মারধর করেন। তাঁরা লাকড়ির আগুন জটির মুখে ছুড়ে মারেন। এতে তাঁর মুখ ঝলসে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে মায়ের পাশে বসে মেয়ে জটি হালদারের মেয়ে আনিকা হালদার বলেন, তাঁর মাকে মেরে ফেলতেই মুখে আগুন দেওয়া হয়। তিনি এর বিচার চান।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বাদল ও দিপালীকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, থানায় একটি অভিযোগ এসেছে। তিনি হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে তদন্ত করছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা কেউ এলাকায় নেই। বাদী ও স্বজনেরা চাইলেই মামলা নেওয়া হবে।