দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নুরুল হুদা ওরফে লিটন (৩৪) নামের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জগতপুর গ্রামে। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে এই গুলির ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত নুরুল হুদার ছোট ভাই নুরুল আলম মুঠোফোনে পরিবারের সদস্যদের এ তথ্য জানিয়েছেন। নুরুল হুদার জ্যাঠাতো ভাই মনির হোসেন প্রথম আলোকে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
দাগনভূঁঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার খবর জানার পর নুরুল হুদার বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়েছে। তাঁর বৃদ্ধ বাবা এবাদুল হক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তিনি ছেলের লাশ দেশে আনার আকুতি জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর লাশ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।
নুরুল হুদার জ্যাঠাতো ভাই মনির হোসেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের হিলব্রু এলাকায় ব্যবসা করতেন নুরুল হুদা। সেখানে তাঁর দুটি দোকান রয়েছে। একটি নিজে ও অন্যটি ছোট ভাই নুরুল আলম দেখাশোনা করেন। কিছুদিন ধরে সেখানে অবস্থিত এক বাংলাদেশির সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে তাঁর বিরোধ চলছিল। আজ সকাল ৯টার দিকে দোকানের সামনের সড়কে নুরুল হুদাকে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাগ্যোন্নয়নের আশায় ১২ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান নুরুল হুদা। এর মধ্যে দুবার দেশে এসেছেন। ছোট ভাইকেও নিজের কাছে নিয়ে গেছেন। সেখানে দুটি দোকান করেছেন। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মেজ ভাই ছোটন সৌদি আরবে থাকেন। তিন বোনের বিয়ে হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, কিছুদিনের মধ্যে নুরুল হুদার দেশে আশার কথা ছিল। তাঁর বিয়ের জন্য বাড়িতে মেয়ে দেখা চলছিল। এ জন্য বাড়িতে একতলা ভবনের কাজও শেষ করা হয়েছে। দুই দিন আগে নুরুল হুদা বাবাকে বলেছিলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে এসে নতুন ঘরেই উঠবেন।