হবিগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিক্ষকের লাশ পাওয়া গেল খালপাড়ে

নিখোঁজের ৩ দিন পর গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রিবন রূপা দাশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর গতকাল রোববার রিবন রূপা দাশ (৪০) নামের এক স্কুলশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার লুকড়া-মাদনা সড়কের একটি সেতুর কাছ থেকে গতকাল সন্ধ্যার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাঁর মুখে বিষপানের আলামত পাওয়া গেছে; পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে বিষের বোতলও পাওয়া যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও নিহত শিক্ষকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রিবন রূপা দাশ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ভরপুর্ণীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি একই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের অজয় দাশের স্ত্রী। রিবন রূপা দাশ ও অজয় দাশ তাঁদের দুই ছেলেকে (৮ থেকে ১০ বছর বয়সী) নিয়ে হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

অজয় দাশ বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে রিবন রূপা দাশ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় জানান যে তিনি স্কুল শেষ করে মৌলভীবাজারে তাঁর বাবার বাড়ি যাবেন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার দিকে হবিগঞ্জের লাখাই থানার পুলিশ খবর পায়, উপজেলার লুকড়া-মাদনা সড়কের ঝিনঝিনিয়া সেতুর কাছে খালপাড়ে এক নারীর লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে  লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে অজয় দাশ সেখানে লাশটি শনাক্ত করেন।

লাখাই থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। মুখে বিষের আলামত দেখা যায়। তবে লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ও আরও তদন্ত করতে পারলে বোঝা যাবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।