নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ২০ জনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৬

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকায় আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করেন। আজ সোমবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে নগরের চাষাঢ়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা পৌনে দুইটার দিকে চাষাঢ়া গোলচত্বরে অবস্থান নেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে আন্দোলনকারীরা নগরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এসে জড়ো হন। বেলা এগারোটার দিকে নগরের চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভে মোড়ে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন তাঁরা। সড়কে বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেন। সাড়ে এগারোটার দিকে উত্তর চাষাঢ়া এলাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ৮ থেকে ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।  

পরে আন্দোলনকারীরা একত্র হয়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ধাওয়া দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে আটকে মারধর করেন। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। নগরের প্রধান বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফুলগাছের টবসহ বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেন আন্দোলনকারীরা। দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর আন্দোলনকারীরা চাষাঢ়া গোলচত্বরে অবস্থান নেন। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন।

শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষে আহত ১৪ জন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছেন। মাথায় আঘাত পাওয়া একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মফিজ উদ্দিন জানান, গুলিবিদ্ধ ছয়জন হাসপাতালে এসেছেন। এর মধ্যে পাঁচজন ছররা গুলি ও একজন বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন। বুলেটবিদ্ধ ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।