বাঘায় পদ্মার চরের জলাশয়ে মাছ চাষ নিয়ে বিরোধে যুবক খুন
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার নদীর চরের খাস জলাশয়ে মাছ চাষ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম মেহেদী হাসান ওরফে লিখন (২৬)। তিনি ওই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। আহত যুবক শামীম হোসেন (২৪) একই গ্রামের আফছার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরপুর গ্রামে পদ্মা নদীর চরের খাস জলাশয়ে গ্রামে কয়েকজন যুবক মিলে মাছ ছেড়েছিলেন। এ নিয়ে আজ দুপুরে মেহেদীর সঙ্গে গ্রামের নাফিজ হোসেন (২৫) বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে নাফিজের বাবা বাচ্চু মণ্ডলও আসেন। তিনি সঙ্গে থাকা খেজুরগাছের রস নামানোর কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র (বাটালি) দিয়ে মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে জখম করেন। মেহেদীকে রক্ষায় এগিয়ে এসে বন্ধু শামীম হোসেন আহত হন। স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসিবুল হাসান মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত শামীম হোসেন বলেন, তাঁরা কয়েক বন্ধু মিলে পদ্মা নদীর খাস জলাশয়ে মাছ চাষ করেছেন। তিনি ও মেহেদী নদী থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাফিজ পথরোধ করে মাছ ছাড়ার জায়গাটি তাঁর বলে দাবি করেন। এ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
মেহেদীর মা হাসিনা বেগম একজন ভূমিহীন। আত্মীয়ের জমিতে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি আহাজারি করে বলেন, মেহেদী পাঁচ বছর ধরে পাবনায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিন দিন আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। আজ বিকেলে তাঁর কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুজ রানা ফোন ধরেননি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, এ ব্যাপারে হত্যা মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। লাশ ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।