গাজীপুরে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতির পর নারী জানালেন অভিযোগের কারণ
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তবে যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন, পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রত্যাহার করেছেন। ওই নারী জানিয়েছেন, ইমরান হোসেনের প্রতিপক্ষ ভয় দেখিয়ে ও জিম্মি করে তাঁকে দিয়ে ওই মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।
ইমরান হোসেন কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের সাফাইশ্রী গ্রামের বাসিন্দা ও কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক। পরে তিনি গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পান।
গতকাল রোববার রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ইমরান হোসেনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান হোসেনকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
সম্প্রতি ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক নারী। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ছয় বছর আগে একই কলেজে পড়ার সময় ইমরান হোসেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন ইমরান। কয়েকবার অন্তঃসত্ত্বাও হয়েছিলেন তিনি। তখন বিয়ের কথা বললে দলীয় পদে থেকে বিয়ে করা যাবে না বলে জানাতেন ইমরান। ছাত্ররাজনীতির পর্ব শেষ হওয়ার পর তাঁকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
ওই নারী আরও বলেন, তিনি তাঁর পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ১২ লাখ টাকা এনে ইমরানকে ব্যবসার জন্য দিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি জানতে পারেন, ইমরান অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইমরান আর তাঁর ফোন ধরছেন না।
অন্যদিকে গতকাল দুপুরে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযোগকারী ওই নারী। এ সময় তিনি দাবি করেন, ইমরান হোসেনের প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে জোর করে ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি নিয়ে তা ভিডিও ও ব্ল্যাকমেল করেছেন। আগের আনা সব অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ইমরান হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।