মামলা করলেন আত্মহত্যা করা সেই নারী চিকিৎসকের মা

ময়মনসিংহ জেলার মানচিত্র

ময়মনসিংহে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অপর্ণা বসাক (৩০) নামের এক চিকিৎসক নিজের শরীরে আগুন দিয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহত অপর্ণার মা জ্যোৎস্না বসাক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।

আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ একজনকে আসামি করে আজ বুধবার কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে অপর্ণা নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন, ‘ভালো থাকো। আমি আর পারছি না। হয়তো সবার মতে হেরে গেলাম। মুক্তি দিয়ে গেলাম।’ স্ট্যাটাসটিতে খন্দকার মাহবুব এলাহী নামের এক ব্যক্তিকে ট্যাগ করে দেওয়া হয়। এরপর নিজ কক্ষ থেকে অর্পণার পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিহত চিকিৎসকের মা জ্যোৎস্না বসাক বাদী হয়ে আজ আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন। সেখানে স্ট্যাটাসে ট্যাগ করা খন্দকার মাহবুব এলাহীকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মাহবুল এলাহীর কোনো ঠিকানা নেই। ফেসবুক আইডিটিও ডিজেবল দেখাচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।’

অপর্ণা বসাক জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রয়াত রতন বসাকের মেয়ে। দুই মাস আগে ময়মনসিংহ নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেন তিনি। ওই বাসায় মা জ্যোৎস্না বসাককে নিয়ে থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক অপর্ণা বসাক ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি বগুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

মামলার এজাহারে জ্যোৎস্না বসাক উল্লেখ করেন, ‘আমরা ধারণা করছি, খন্দকার মাহবুব এলাহী আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। সরলতার সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেলা করে। মাহবুব এলাহী বিয়ে না করে মনে আঘাত দেওয়ার কারণে দুঃখ ও কষ্টে আমার মেয়ে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে।’ মামলায় জ্যোৎস্না বসাক আরও উল্লেখ করেন, ‘আমার মেয়েকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।’