কেরানীগঞ্জে বাক্প্রতিবন্ধী তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যা করেন ট্রাকচালক সুজন: পুলিশ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাক্প্রতিবন্ধী এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সুজন মিয়া (৩২) নামের এক ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার উত্তরখানপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সুজন মিয়া ওই এলাকার দাদন মিয়ার ছেলে।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া এলাকার ট্রাকচালক সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা যায় যে তিনি ওই বাক্প্রতিবন্ধী তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, সুজন ওই তরুণীকে গত ২৮ নভেম্বর রাতে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন। ওই দিন তরুণী সুজনের কথায় বিশ্বাস করে রাতে বাসা থেকে বের হন। সুজন ওই তরুণীকে মারধর করে গলা চেপে ধরেন। এরপর ইট দিয়ে তাঁর মাথায় কয়েকবার আঘাত করলে তরুণী অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তরুণীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন সুজন।
ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে সুজন তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে দগ্ধ অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। ২৯ নভেম্বর রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তরুণীর মৃত্যুর খবর জানতে পেরে সুজন কেরানীগঞ্জ থেকে তাঁর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের উত্তরখানপাড়ায় চলে যান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোবাশ্বেরা হাবিবা খান, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দীন কবীর, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামান প্রমুখ।