বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আপত্তির মুখে কোষাধ্যক্ষ পদে বদল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি পক্ষের আপত্তির মুখে নতুন কোষাধ্যক্ষ পদে কর্নেল (অব.) আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মামুন অর রশিদকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে।

মামুন অর রশিদ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের মৌলিক বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান। গত ২৮ অক্টোবর তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে মামুন অর রশিদকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের দিন থেকে চার বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ২৬ নভেম্বরে আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি এর আগে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর নিয়োগের আদেশ জারির পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ মোস্তফা কামালকে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। ওই দিন রাতে যোগদান করতে গেলে শিক্ষার্থীদের ওই অংশের প্রতিবাদের মুখে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে তিনি আর আসেননি। পরে অনলাইনে অফিসে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মামুন অর রশিদ
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বড় একটি অংশ তাঁর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানের নিয়োগ বাতিল চেয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন তাঁরা। এর আগেই তাঁর জায়গায় নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক মো. মামুন অর রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হলো।

এদিকে গতকাল বিকেলে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর ওই রাতেই এ পদে যোগদান করেন মামুন অর রশিদ। তবে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কিংবা রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন না। প্রক্টর, একজন সহকারী রেজিস্ট্রার ও কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে যোগদানপত্রে সই করেন তিনি। তবে সেখানে কোনো শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না।

প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার দিকে নতুন কোষাধ্যক্ষকে আমি ফোন করে অভিনন্দন জানানোর সময় তিনি রাতেই যোগদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে রাত ৮টার দিকে তিনি আসেন এবং সহকারী প্রক্টরসহ কয়েকজনের উপস্থিতিতে যোগদান করেন।’