সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ আবারও পিছিয়েছে
সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আবারও পিছিয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ।
আজ মঙ্গলবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মো. শাহাদাত হোসেন প্রামাণিকের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ আগামী ১৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখে কোনো সাক্ষী উপস্থিত হননি। তবে আসামিদের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছসহ ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত হতে না পেরে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওই হামলায় তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত এবং আরও ৭০ জন আহত হন।
ঘটনার পরদিন হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
এ অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলার পুনঃ তদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ জন বাড়িয়ে ২৬ জনের নামে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় নিহত কিবরিয়ার পরিবার।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।