দিনাজপুরে বিএনপির পদযাত্রার গাড়িবহরে ছাত্রলীগের হামলা, ভাঙচুর
দিনাজপুরে বিএনপির পদযাত্রায় আসা গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ বিএনপির। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি গাড়ি।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বেলা দুইটা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাঁশ, কাঠ, রডসহ ধারালো অস্ত্র হাতে ইটপাটকেল ছোড়েন। জবাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও লাঠি হাতে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পদযাত্রায় আসা বিএনপির দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নিতে বেলা দুইটায় রংপুর থেকে ইকু পরিবহনের ১০টি বাস দিনাজপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বাঁশেরহাট এলাকায় পৌঁছালে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে তারা। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী বাসগুলো থামিয়ে দেন। গাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। জবাবে বাস থেকে নেমে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পদযাত্রায় অংশ নেওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা বলছিলেন বলে জেনেছি। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গন্ডগোল বাধে। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি থানার পুলিশের দুটি প্রতিনিধিদল বাঁশেরহাট এলাকায় এসে বিকেল সোয়া চারটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের দুটি প্রতিনিধিদল কাজ করে।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বেলা তিনটা থেকে শহরের ইনস্টিটিউট মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন বিকেল সাড়ে চারটায়। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ইনস্টিটিউট মাঠ থেকে পদযাত্রা শুরু হয় সন্ধ্যা ছয়টায়।