বাউফলে আওয়ামী গডফাদার ফিরোজই ছিলেন শেষ কথা
শুধু বিরোধী দল নয়, নিজ দলের বিরুদ্ধবাদী নেতা-কর্মীদের অনেককে এলাকাছাড়া করেছেন। বিপক্ষে কথা বললেই চলত হামলা ও মামলা। দলীয় মনোনয়ন, পদপদবি—সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এলাকার রাজনীতিতে তিনিই ছিলেন শেষ কথা। খাসজমিসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখলে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তাঁর স্বজনেরা। এত অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, তিনি হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সাবেক এই এমপি ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি বাহিনী গড়েছিলেন। তাঁদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পাননি শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তাসহ নিজ দলের নেতা-কর্মীরা। প্রকাশ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ‘ক্রেস্ট চাই না, ক্যাশ চাই’ বলে হয়েছিলেন সমালোচিত।
১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো এমপি হন আ স ম ফিরোজ। ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচন ছাড়া প্রতিটি সংসদের এমপি ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে দশম সংসদের চিফ হুইপ ছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর বনানী এলাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ফিরোজ কারাগারে আছেন।
ফিরোজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সহসম্পাদক রায়হান সাকিব কথা বলতে রাজি হননি। ফিরোজের ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ফরিদ মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, সব ষড়যন্ত্র। এসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই। দখল ও লুটপাটের রাজনীতিতে তাঁর ভাই কিংবা পরিবারের কেউ জড়িত নন। কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীও নেই। ফিরোজ একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। বাউফলের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ভালোবাসায় তিনি আটবারের সংসদ সদস্য।
পছন্দের লোকই হতেন জনপ্রতিনিধি
৪৫ বছর ধরে বাউফলে দলীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন আ স ম ফিরোজ। রাজনীতি ছাড়াও ৬৭টি মাদ্রাসা, ৩৩৯টি প্রাথমিক, ৬১ মাধ্যমিক, ১৪টি কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটি তাঁর নির্দেশেই হতো। এসবে নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।
২০০৮ সালে এমপি হওয়ার পর থেকে ফিরোজের পছন্দের বাইরে বাউফলে কেউ জনপ্রতিনিধি হতে পারতেন না। স্থানীয় সব নির্বাচনে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য করত তাঁর ক্যাডার বাহিনী। ফিরোজ যাঁকে সমর্থন দেবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন, এমন জনশ্রুতি ছিল এলাকায়। দলীয় মনোনয়নেও কখনো কখনো কাজ হতো না। ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হতে পারেননি, এমন ব্যক্তিকেও তিনবার চেয়ারম্যান বানিয়েছেন ফিরোজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাউফলের ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে বাউফল পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়ন ছাড়া সব ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজের অনুসারী। ফিরোজের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করে ২০১২ সালে বাউফল পৌরসভার মেয়র হন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক (জুয়েল)। এ জন্য তাঁকেসহ তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে এলাকাছাড়া করেছিলেন ফিরোজ। পরে ২০২২ সালে জিয়াউল আবার মেয়র হন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজী বলেন, দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে অন্য দলের লোকদের নেতা বানিয়েছিলেন ফিরোজ। উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৭৯ সালে রাজনীতিতে এসেই কৌশলে তিনি (ফিরোজ) সভাপতির পদ দখল করেন। সেই থেকে এখনো পদটি কুক্ষিগত রেখেছেন। কোনো কমিটির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল না।
বিপক্ষে গেলেই হামলা-মামলা
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ মার্চ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান, দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, নওমালা ইউপির চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদারকে মারধর করে ফিরোজের বাহিনী। ওই ঘটনার এক বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে ডান হাতের আঙুল ও ডান পা ভেঙে দেওয়া হয়। জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউপির চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসানকে পিটিয়ে জখম করা হয় ফিরোজের সামনেই।
মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি (ফিরোজ) সব সময় নিজের স্বার্থ দেখতেন। কাজ না করে সরকারি বরাদ্দ লুটপাটের ধান্দায় থাকতেন। বিরোধিতা করায় তাঁকেসহ তাঁর অনুসারী দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে ফিরোজের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ইউসুফ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগ তাঁর স্বেচ্ছাচারিতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তিনি পাল্টা কমিটি করেন। বৈধ কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ২৫টির বেশি মামলা করেছেন। অনেকেই এলাকায় থাকতে পারেননি।
যেখানে–সেখানে জমি দখল
বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কালাইয়া মার্সেন্টপট্টি এলাকায় খালের জমি দখল করে দ্বিতল ভবনসহ ১৫টি দোকান করে ভাড়া তোলার অভিযোগ রয়েছে ফিরোজের স্বজনদের বিরুদ্ধে। কালাইয়া ধানহাট-সংলগ্ন দাসপাড়া মৌজার ২৫৯ নম্বর খতিয়ানের ৩৮৭৫ নম্বর দাগের ২৮ শতাংশ জমিতে পাকা ভবন তুলে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করছেন ফিরোজের ভাই এ কে এম ফরিদ মোল্লা।
স্থানীয় মকবুল আহাম্মদ অভিযোগ করেন, তাঁর কবলা করা জমি আদালতের নির্দেশে ২০০৪ সালে সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ১৪ বছর আগে ওই জমি ভাইয়ের ক্ষমতা দেখিয়ে দখল করে নেন ফরিদ মোল্লা। তবে ফরিদ মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২১ শতক জমি কিনে ব্যবসা করছেন। তিনি কারও জমি দখল করেননি।
এ ছাড়া কালাইয়া বন্দরের বাজারে সরকারি জমি দখল করে তিনতলা বিপণিবিতান নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে ফিরোজের চাচাতো ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. শামীম মোল্লার বিরুদ্ধে। বন্দরের গরুর হাট এলাকায় সরকারি জমিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় বানিয়েছিলেন ফিরোজ। ৫ আগস্টের পর সেই কার্যালয় দখল করে নেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
নদীবেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে ১৯৯৫ সালে নিজের নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২০১৭ সালে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করেছেন ফিরোজ। নিয়ম অনুযায়ী, নিজের নামে বিদ্যালয় করতে হলে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য দেড় একর ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতক জমি দিতে হয়। কিন্তু ওই এলাকায় তাঁর কোনো জমি ছিল না। স্থানীয় তিন ভাইয়ের কাছ থেকে প্রায় দুই একর জমি নিজের নামে লিখে নিয়ে তিনি ওই প্রতিষ্ঠান করেন বলে অভিযোগ।
জমিদাতা সেকান্দার আলীর ছেলে জাফর খান বলেন, ইউনিয়নের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ ও কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা তাঁর বাবা ও চাচারা। অথচ তাঁদের পরিবারের নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়নি। ভুল বুঝিয়ে জমি লিখে নিয়ে আ স ম ফিরোজ নিজের নামে প্রতিষ্ঠান করেছেন।
দুই ভাতিজা শূন্য থেকে কোটিপতি
ফিরোজের দুই ভাতিজা মনির মোল্লা ও আলকাচ মোল্লা একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। উচ্চ আদালতে আপিলের পর জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন। মামলাটি এখনো বিচারাধীন। পরে নাম পরিবর্তন করে আলকাচকে এনামুল হক বানিয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউপিতে এবং মনিরকে ফয়সাল আহম্মেদ বানিয়ে কালাইয়া ইউপির চেয়ারম্যান বানিয়েছেন আ স ম ফিরোজ। মনির দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আলকাচ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন।
এলাকাবাসী, ভূমি কার্যালয় ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে মনির ও আলকাচের ব্যক্তিগত কোনো জমিজমা, বাড়ি-গাড়ি ছিল না। ফিরোজের প্রভাবে তাঁরা কালাইয়া বন্দরে কোটি টাকার সরকারি জমি নিজেদের ও স্ত্রীদের নামে ডিসিআর করে নেন এবং সেখানে দোকান তুলে ভাড়া দেন। উপজেলা ভূমি কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সম্প্রতি ডিসিআর বাতিলে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
কালাইয়া বন্দরে মনিরের দ্বিতল ভবন আছে, যাতে দুই কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে বলে এলাকায় আলোচনা আছে। হয়েছেন গাড়ির মালিক। ঢাকার গেন্ডারিয়ায় ফ্ল্যাট, স্ত্রীর নামে জমি আছে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে আলকাচ মোল্লা দেড় শতাধিক মহিষের মালিক। ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটে মহিষগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেন। ছয় মাস আগে ৪৫ লাখ টাকা দিয়ে কালাইয়া বন্দরের সিনেমা হল সড়কে ৬ শতাংশ জমি কিনেছেন। ওই জমির পাশেই পাঁচতলা ভিত্তিতে দ্বিতল ভবন করেছেন। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকায় দেড় একর জমি ও বউবাজার এলাকায় ৮ শতাংশ জমি কিনে বিপণিবিতান করে নাম দিয়েছেন চেয়ারম্যান মার্কেট।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ একর খাসজমি দখলে নিয়ে আট বছর ধরে একসনা ভিত্তিতে তরমুজচাষিদের কাছে ইজারা দিয়ে আসছেন আলকাচ মোল্লা। এ ছাড়া ওই ইউনিয়নের ব্যক্তিমালিকানার জমিও একসনা ইজারা দিতে তাঁর অনুমতি নিতে হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে চর রায়সাহেব এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সাত একর জমি দখল করে মাছের ঘের করার অভিযোগ আছে।
৫ আগস্টের পর থেকে মনির পলাতক। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলকাচ মোল্লা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কোনো জমি দখল করেননি। কারও জমি বিক্রি করতে তাঁর অনুমতিও নিতে হয় না। তাঁর ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০টির মতো মহিষ ছিল। সেগুলো এখন নেই। তিনি যা করেছেন, বৈধভাবে করেছেন।
কমেছে ঋণ, বেড়েছে সম্পদ
নবম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী আ স ম ফিরোজের বার্ষিক আয় লাখ থেকে কোটির ঘরে গেছে। একই সময়ে পাল্লা দিয়ে কমেছে দায়দেনা। ১৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৩০ গুণের বেশি। আর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৯ গুণের বেশি। ১৫ বছর আগে স্ত্রীর স্বর্ণালংকার ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছাড়া কিছুই ছিল না। পেশায় গৃহিণী হলেও এখন তিনি কোটিপতি। গাড়ি-বাড়ির মালিক।
ফিরোজের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৮ সালে বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তিন মেয়াদে এমপি ও চিফ হুইপের দায়িত্ব পালনের পর এখন তাঁর বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা। ১৫ বছর আগে তাঁর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়দেনা ছিল ১৫ কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ টাকা। এখন দেনা কমে ১ কোটি ৯৮ লাখে নেমেছে। ২০০৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৮ লাখ ২৯ হাজার ৭৬৪ টাকার। এখন তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৯ লাখ ২৭ হাজার ৮০৫ টাকায়।
২০০৮ সালে আ স ম ফিরোজের স্থাবর সম্পদ ছিল ৭৭ লাখ ২৩ হাজার ১৮৮ টাকার। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৫৮ টাকা। ১৫ বছর আগে তাঁর যৌথ মালিকানায় ফিরোজের স্থাবর সম্পদ এখন নেই। ২০০৮ সালে অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তাঁর স্ত্রীর ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও ৬০ হাজার টাকা দামের টিভি-রেফ্রিজারেটর এবং স্থাবর সম্পদ হিসেবে ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের ৭০ শতাংশ অকৃষিজমি ছিল। বর্তমানে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে ঢাকায় আছে ২০ লাখ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট।