নোয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ীর একাংশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়ার নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে সেনবাগ পৌর শহরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া এসব অভিযোগ করেন।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীকে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক জনসমর্থন এবং গণজোয়ার তৈরি হয়েছে আমার পক্ষে। শুধু তা–ই নয়, এই গণজোয়ারে শামিল হয়েছেন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতারা। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন স্থানে প্রচার–প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। নৌকার প্রার্থী নির্বাচনে ভয় পান। তাই তিনি তাঁর লোকজনকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আমার পক্ষের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছেন। বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করছেন।’
আতাউর রহমান ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘গত শনিবার সন্ধ্যায় নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের লালিত কিশোর গ্যাং ও হেলমেট বাহিনী ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় গ্রামে ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রথমে আমার নির্বাচনী প্রচারণা সভায় নেতা–কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, পরে আমার এক নারী সমর্থকের বাড়িতে গিয়ে প্রথমে ৫টি গুলি করে, হাতবোমা মারে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হেলমেট বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সৌরভ হোসেন, যিনি এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করলে পিটিয়ে মেরা ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন প্রকাশ্যে। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আমরা অভিযোগ ও মামলা করেছিলাম। তবু ওই ঘটনার কোনো প্রতিকার পাইনি।’
আতাউর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি বারবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উল্লিখিত ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার পরও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি এ পর্যন্ত অনেক অভিযোগ করেছেন। কিন্তু প্রতিটি অভিযোগ কোনো এক অদৃশ্য দেয়ালের মাঝখানে আটকা পড়ে। কোনো অভিযোগের তদন্ত করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিলেই এখানে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে নৌকার প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দুবার নির্বাচন করেছি। কখনো কারও বিরুদ্ধে মামলা করা লাগেনি। আমি কী ধরনের মানুষ, এই এলাকার মানুষ জানেন। কয়েক দিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার ৬৫ কর্মীকে আসামি করে মিথ্যা মামলা করেছেন।’