চুয়াডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে কুপিয়ে জখম, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

পঙ্গু হাসপাতাল চিকিৎসাধীন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ জামাল
ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ জামালকে (৩০) কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। শনিবার সন্ধ্যায়  ফার্মপাড়ায় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য সালিস বৈঠক শেষে পেছন থেকে তাঁর ওপর হামলা হয়।

শাহ জামাল পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মো. জয়নুদ্দিন মোল্লার ছেলে এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক। শাহ জামাল তাঁর ওপরে হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. জুয়েল, তাঁর ভাই উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য জমির হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী রায়হানকে দায়ী করেছেন।

এই ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ জামালের স্ত্রী মমতাজ খাতুন বাদী হয়ে আজ রোববার দুপুরে ওই চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হামলায় শাহ জামালের বাঁ হাতের তিনটি আঙুল কেটে গেছে। তাঁকে  প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এবং পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়।  

এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ জামাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ফার্মপাড়ায় জমি নিয়ে চলা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে শনিবার সন্ধ্যায় সালিসের আয়োজন করা হয়। সালিসে বিএনপি, মহিলা দল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সালিস চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কিছুটা তর্কবিতর্ক হয়, যা মহিলা দলের নেত্রী সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র শেফালী খাতুন নিষ্পত্তিও করে দেন।

সালিস বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. জুয়েল, তাঁর ভাই উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য জমির হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন ও ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান অতর্কিত পেছন থেকে শাহ জামালের ওপর হামলা চালান। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তা ঠেকানোর সময় তাঁর বাঁ হাতের অন্তত তিনটি আঙুলের বিভিন্ন অংশ মারাত্মতভাবে কেটে  হয়ে যায় ,এমনকি হাড়েও আঘাত লাগে।

এই বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শাহ জামালের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শাহ জামালের ওপর হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জেলা বিএনপির নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আহত শাহ জামালের স্ত্রী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা সেটি মামলা হিসেবে নিয়ে নিচ্ছি।’