মুন্সিগঞ্জে ব্যাংকে টাকা না পেয়ে মহাসড়ক অবরোধ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ন্যাশনাল ব্যাংক শাখায় টাকা না পেয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। গতকাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শতাধিক গ্রাহক অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
গ্রাহকেরা মহাসড়ক অবরোধ করায় আধা ঘণ্টার মতো যান চলাচল বন্ধ থাকে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গ্রাহকেরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়।
ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করা গ্রাহকেরা তিন মাস ধরে ব্যাংকে তাঁদের সঞ্চিত টাকা ওঠাতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কাউকেই চাহিদামতো টাকা দিচ্ছে না ব্যাংক। এ ছাড়া অনেক গ্রাহক ২ থেকে ১ দিন পর পর সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ব্যাংকে অপেক্ষা করে টাকা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান। ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও তাঁরা প্রতিকার পাচ্ছিলেন না।
কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, ‘ব্যাংকের কর্মকর্তারা স্বজনপ্রীতি করেন। তাঁদের সঙ্গে যাঁদের সম্পর্ক ভালো, তাঁদের ব্যাংক বন্ধ হলে সন্ধ্যার সময় চাহিদামতো টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া গ্রাহকদের টাকা না দেওয়ার জন্য ব্যাংকের অফিসার ব্যাংকে এসে প্রবেশ গেট বন্ধ করে বসে থাকেন। দু-একজন মাঝেমধ্যে জানান, দুই থেকে তিন মাস পর এসব সমস্যা মিটে যাবে। প্রতিদিন আমাদের ব্যাংকের প্রবেশ গেটে টাকা নেওয়ার অপেক্ষায় থেকে শেষে খালি হাতে সন্ধ্যায় ফিরতে হচ্ছে। তাই আমরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলাম।’
নাফিজ দেওয়ান, আবুল হোসেন নামের দুজন গ্রাহক বলেন, ‘কষ্ট করে টাকা জমিয়ে আমরা সে টাকা এখন প্রয়োজনের সময় পাচ্ছি না। এ জন্য বাধ্য হয়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের টাকা দ্রুত ব্যাংক পরিশোধ না করলে, সব ভুক্তভোগীকে নিয়ে আন্দোলন করব।’
এ বিষয়ে জানতে ন্যাশনাল ব্যাংক গজারিয়া শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেনের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি কেটে দেন।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যত দূর শুনেছি গ্রাহকেরা তাঁদের চাহিদামতো বেশি টাকা চাচ্ছিলেন। ব্যাংক সে পরিমাণ টাকা দিতে না পারায় কিছু নারী মহাসড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত করতে চান। সে সময় স্থানীয়রা মহাসড়ক ছেড়ে দিতে বলায় বিক্ষোভকারীরা সরে যান।’
ওসি মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ সত্যি হলে, তাঁদের মহাসড়কে না গিয়ে পুলিশ, ইউএনও এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানানো দরকার ছিল।