সিলেটে হামলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে ট্যাংক-লরি নিয়ে মিছিল
সিলেটে একটি পেট্রল ও সিএনজি পাম্পে দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে পাঁচ দফা দাবিতে ট্যাংক-লরি নিয়ে মিছিল করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকা থেকে ট্যাংক-লরি নিয়ে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে আছে—পেট্রলপাম্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মালিক ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার, ফিলিং স্টেশন ও ট্যাংক-লরি থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
আজ বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় জড়ো হতে থাকে জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক-লরি। শতাধিক ট্যাংক-লরি সারিবদ্ধভাবে দক্ষিণ সুরমা থেকে মেন্দিবাগ হয়ে নগরের বন্দর বাজারের দিকে আসে। এ সময় ট্যাংক–লরিগুলোর সামনে পাঁচ দফা দাবি–সংবলিত ব্যানার দেখা যায়। পরে মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন।
পেট্রলপাম্প মালিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ট্যাংক-লরি নিয়ে তাঁরা মিছিল করেছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মনির হোসেন।
২৬ মে সিলেটের পীরেরবাজার আর রহমান অ্যান্ড সন্স ফিলিং স্টেশনে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ফিলিং স্টেশনের কয়েকজন কর্মী আহত হন। ফিলিং স্টেশনের কর্মীদের দাবি, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের নামে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ক্রেতাদের সারি ভেঙে ফিলিং স্টেশনে প্রবেশ করে। স্টেশনের কর্মীরা বাধা দিলে তাঁরা হামলা ও মারধরের শিকার হন। এ ঘটনার পরদিন ফিলিং স্টেশনের মালিকপক্ষ মামলা করে। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়। দাবি না মানলে আগামী রোববার থেকে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সিএনজি স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে তাঁরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। মামলার পরও আসামিরা বিভিন্নভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এ জন্য তাঁরা নিরাপত্তা চাইছেন।