ভাসানচরে রোহিঙ্গা কিশোরকে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে জাহিদ হোসেন (১৫) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোরকে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও নিহত কিশোরের মুঠোফোন জব্দ করেছে পুলিশ।
৮ জুন হত্যাকাণ্ডের পর ১২ জুন নিহত কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আজ দুপুরে গ্রেপ্তার দুই কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভাসানচর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১২ জুন বেলা ১১টার দিকে কাঁকড়া ধরতে যাওয়া লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে ভাসানচর থানা থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে চরের মধ্যে গলা ও হাত-পায়ের রগ কাটা অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই লাশের ছবি ভাসানচরের বিভিন্ন স্থানে টানিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। পরে ভাসানচরের বাসিন্দা রোহিঙ্গা নারী মোস্তাকিমা (৩০) লাশটি তাঁর ছোট ভাই জাহিদ হোসেনের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় মোস্তাকিমা বাদী হয়ে ১৩ জুন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধার ও মামলা দায়েরের পর বিভিন্নভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নিহত জাহিদের ব্যবহৃত স্মার্টফোনটি ৬৮ নম্বর ক্লাস্টারের মোহাম্মদ আবদুল্লাহর (৩৩) কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুঠোফোন বিক্রেতা দুই কিশোরকে পৃথক দুটি ক্লাস্টার থেকে আটক করে পুলিশ।
ওই দুই কিশোরের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে কৌশলে জাহিদকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় ওই দুই কিশোর। তারা জাহিদকে ধারালো ছোরা দিয়ে প্রথমে পিঠে ছুরিকাঘাত করে। পরে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিতের পর মুঠোফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ছোরা জব্দ করা হয়েছে।