পিরোজপুরে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৫
পিরোজপুরে পদযাত্রা চলাকালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পিরোজপুর সদর থানার উপপরিদর্শক মাকসুদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও সদস্যসচিব ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৮০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০০ জনকে।
এরই মধ্যে পুলিশ মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন ফারুক ও মাহাবুবুল ইসলাম আকনসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর শহরের হুলারহাট সড়কের ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়ের সামনে সড়কের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশ করছিলেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে জনগণের দুর্ভোগ হয়। জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলে। কিন্তু নেতা-কর্মীরা সমাবেশ করতে থাকলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর সার্কিট হাউস এলাকা থেকে একটি মিছিল এসে পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠি ও রড নিয়ে হামলা করলে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেনসহ ৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য রুহুল আমিন দুলাল বলেন, পদযাত্রায় অংশ নিতে গিয়ে মঠবাড়িয়া বিএনপির দুজন যুগ্ম আহ্বায়কসহ তিনজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ উপজেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠি পেটা করেছে। এতে আমাদের ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের পুলিশ মারধর করেছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’
বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হঠাৎ হামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।