ভাই-বোনের ঝগড়া, থামাতে গিয়ে চাচা খুন
ঝগড়া চলছিল ভাই-বোনের মধ্যে। এ সময় ঝগড়া থামাতে আসেন চাচা। তখন ভাতিজা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাচার ওপর। একপর্যায়ে দা দিয়ে চাচার পেটে আঘাত করেন ভাতিজা। এতে প্রাণ হারান চাচা।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার রাজপাড়া গ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ছাড়া শুক্রবার জেলার লাখাই উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরেক ব্যক্তি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রাজপাড়া গ্রামের শাহীন (২৫) টাকার লেনদেন নিয়ে তাঁর বড় বোনের সঙ্গে সন্ধ্যায় ঝগড়া করছিলেন। এ সময় পাশের ঘর থেকে তাঁর চাচা মোশারফ মিয়া (৪০) এসে তাঁদের ঝগড়া থামাতে বলেন। তখন শাহীন চাচার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহীন দা দিয়ে তাঁর চাচার পেটে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মোশারফ মিয়া প্রাণ হারান। এ সময় আশপাশের লোকজন শাহীনকে আটক করে পুলিশে দেন।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে লাখাই উপজেলার মকসুদপুর গ্রামে ধান কাটা নিয়ে বিরোধ থেকে এক সংঘর্ষে আবদুল জলিল (৬৫) নামের এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ১৫-১৭ জন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মকসুদপুর গ্রামের একটি জমি নিয়ে নওয়াজ আলী ও বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সবুজ মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। নওয়াজ আলী একটি মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন। সবুজ মিয়া ও তাঁর লোকজন শুক্রবার দুপুরে ওই জমির ধান কাটতে গেলে নওয়াজ আলীর লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বল্লমের আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান নওয়াজ আলীর পক্ষের আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক ধাম বলেন, নিহত আবদুল জলিলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।