একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার হওয়া মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ওই আসামির নাম মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (৫০)। তিনি সুবর্ণচর উপজেলারচর জুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্গা গ্রামের বাসিন্দা। চরজব্বার থানার পুলিশ শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর আজ বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ওই গৃহবধূর ওই সময় অভিযোগ করে বলেছিলেন, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জের ধরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনার পরদিন ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার হওয়া প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন, আওয়ামী লীগের সমর্থক মো. মিন্টুসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
পুলিশ আরও জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের সেই ঘটনার পর থেকে এ ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি মো. মিন্টু পলাতক ছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদাউস এ মামলার ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একমাত্র পলাতক আসামি মিন্টুসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।