বগুড়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ দুই নেতাকে গভীর রাতে গ্রেপ্তার করল পুলিশ
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার ওরফে হেনা ও বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান ওরফে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে আলী আজগরকে তাঁর বগুড়া শহরের সূত্রাপুরের বাসা থেকে এবং রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাজেদুর রহমানকে পুরান বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ জানিয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আলী আজগর তালুকদার ও মাজেদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা গতকাল পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন পরিদর্শকসহ ১১ জন পুলিশকে আহত করেছেন। সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গতকাল রাতে আলাদা মামলা করেছে।
এ ঘটনায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকের বিপুলসংখ্যক পুলিশ গভীর রাতে আলী আজগর তালুকদার ও মাজেদুর রহমানকে তুলে নিয়েছে। দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গতকাল দুপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত। বেলা পৌনে একটার দিকে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের শেল, শটগানের গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের গুলি ও হামলায় অন্তত ২০০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপি দাবি করেছে। এর মধ্যে ৭০ জন গুলিবিদ্ধ। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বিএনপির হামলায় ৬ থেকে ১১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।