সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেও মৌলভীবাজারের ৪৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার দীঘলবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গতকাল বিকেলে তোলাছবি: কল্যাণ প্রসূন

পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের ছুটি শেষে আজ বুধবার দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেও মৌলভীবাজারের বন্যাকবলিত দুই উপজেলার ৪৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। জেলার কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার ৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটিতে এখনো পানি নামেনি। পাশাপাশি কয়েকটি স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম আবার সচল করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১৩ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কুলাউড়ায় মোট ৩৩টি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে।

আরও পড়ুন

উপজেলাটির সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৌরভ গোস্বামী বলেন, কিছু বিদ্যালয় থেকে পানি নেমে গিয়েছিল। কিন্তু তিন দিনের ভারী বর্ষণে আবারও প্লাবিত হয়েছে। জুড়ীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীময় দাশ চৌধুরী বলেন, উপজেলাটিতে ১৪টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত।

কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখর উদ্দিন আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বলেন, ‘স্কুলের সামনের রাস্তা থেকে পানি নেমে গিয়েছিল। দুই-তিন আগে ক্লাসরুমগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাও হয়। তবে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি আবার বেড়ে সব ডুবে গেছে। ক্লাসরুমের ভেতর এখন প্রায় এক ফুট পানি জমে আছে।’

এদিকে জুড়ীর বেলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনে জানালা পর্যন্ত পানি উঠেছে বলে জানান সহকারী শিক্ষক আবদুস শহীদ। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় দুই থেকে তিন ফুট পানি আছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢল নামার কারণে নদ-নদী ও হাওরের পানি আবারও বাড়ছে। কুলাউড়া, জুড়ীর পানি হাকালুকি হাওরে গিয়ে পড়ে। কিন্তু হাওরের পানি ধীর গতিতে নামছে। ওই হাওরের পানি নামে কুশিয়ারা নদী দিয়ে।

আরও পড়ুন