নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক উপাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি করেন দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল আমিন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ত দপ্তরের উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আবদুর রউফ ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বাদী দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল আমিন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মো. আবদুস সাত্তার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে আবদুর রউফকে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেন। এ সময় তাঁরা অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হন। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আবদুর রউফকে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেতন–ভাতা বাবদ ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকারি টাকার ক্ষতি করায় দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তাঁরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য আবদুস সাত্তার। এ ছাড়া বাছাই বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ (সদর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান (বর্তমানে মৃত), বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন।
বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে মো. আবদুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাঁকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী ওই নিয়োগের বিষয়টি ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ রিজেন্ট বোর্ডে সভায় ওই পদে নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।