নিখোঁজের দুই দিন পর কিশোরের লাশ মিলল বন্ধুর ঘরে
বাড়ির পাশে বাবার সঙ্গে ভুট্টাখেতে গত শুক্রবার বিকেলে কাজ করছিল সাকিব হাসান (১৭)। একটু পর ক্রিকেট খেলার কথা বলে ব্যাট ও বল হাতে বের হয়ে যায় সে। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। আজ রোববার সকালে সাকিবের লাশ পাওয়া গেছে তারই বন্ধুর (১৭) শয়নকক্ষে।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার টেনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পা বাঁধা অবস্থায় সাকিবের অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সাকিব হাসান উপজেলার নাফানগর গ্রামের মমিনুল ইসলামের ছেলে। এবার সে উপজেলার দৌলতপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার বন্ধু পলাতক। আর পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্ধুর বাবা।
সাকিবের চাচি মুন্নি আক্তার জানান, শুক্রবার বিকেলে ভুট্টাখেতে কাজ করার সময় সাকিবকে মুঠোফোনে কেউ একজন ডেকে নিয়ে যান। অনেক রাত পর্যন্ত সে বাড়ি ফিরে আসেনি। মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে সাকিবের বন্ধুর বাবা ছেলের ঘরে দরজা খুলে বিছানায় লাশ দেখে অচেতন হয়ে পড়েন। তখন বিষয়টি জানাজানি হয়।
থানা–পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার রাতে সাকিবের বন্ধুর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ সকাল ছয়টায় ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। লাশ উদ্ধারের সময় সাকিবের পা বাঁধা আর রক্তমাখা শার্ট গলায় প্যাঁচানো ছিল।
বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল ইসলাম বলেন, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। পুলিশ অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে। এ বিষয়ে নিহত কিশোরের পরিবার মামলা করবে বলে জানিয়েছে।