বিএনপি যখনই সুযোগ পায়, তখনই আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা একনাগাড়ে ১৪ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এ ১৪ বছরে বিএনপির ওপরে কোনো নির্যাতন কোনো অত্যাচার করিনি। অথচ ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেই বিএনপি আমাদের অনেকের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, অনেকে বাড়িঘরে থাকতে পারেনি। বিএনপি যখনই সুযোগ পায়, তখনই আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতাম। আমরা প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলা জেলা পরিষদ হল রুমে জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। গত ৩১ জুলাই ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন ভোলার সমাবেশে অহেতুক ঘটনা ঘটিয়েছে। সমাবেশে করেছে ভালো, সব দলই সমাবেশ করতে পারে। কিন্তু সমাবেশের মাধ্যমে যেভাবে তারা (বিএনপি) পুলিশের ওপর তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে, যা আমাদের শাসনামলে গত ১৪ বছরেও ঘটেনি।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বক্তৃতা দিয়ে ও প্রেস ব্রিফিং করে বিএনপি দলটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁদের আর কোনো কাজ নেই।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সময় এসেছে আপনাদের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকার। সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, কেউ কিছু করতে পারবে না ইনশা আল্লাহ। আবার যদি বিএনপি অত্যাচার শুরু করে, পাল্টা জবাব দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বলে আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। এই ১৪ বছর ধরে বিএনপি মহাসচিবের মুখ থেকে এ একটাই কথা আমরা শুনি। আমি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বক্তৃতা দিয়ে ও প্রেস ব্রিফিং করে বিএনপি দলটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁদের আর কোনো কাজ নেই। তিনি বলেছেন, যেকোনো সময় আমরা বিদায় নেব। এত সহজ? বারবার আমাদের দ্বারা বিদায় নিয়েছে বিএনপি। বিএনপি ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ইলেকশন করেছিল, ৩১ মার্চ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। আমরা সেই দল। সুতরাং তাঁদের বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম, ভোলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিবুল্লাহ নাজু, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আবু সায়েম, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক হাসান আলী খান, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক খাদিজা আক্তার, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মামুন আল রশিদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাইহান আহমেদ প্রমুখ। সভায় জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।