ভোলায় ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ককটেল বিস্ফোরণ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর প্রায় ভোটার শূন্য হয়ে পড়ে কেন্দ্রটি। আজ বেলা ১১টার দিকেছবি: প্রথম আলো

ভোলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রের আশপাশে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালে মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় ভোটকেন্দ্রটি।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রের বাইরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোসারেফ হোসেন ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. ইউনুছ মিঞার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় উভয় পক্ষই পাঁচ থেকে ছয়টি ককটেল ছুড়ে। এতে কিছুক্ষণের জন্য ভোটার শূন্য হয়ে পড়ে কেন্দ্রটি। পরে জেলা প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মোসারেফ হোসেনের (আনারস প্রতীক) কর্মী ও শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, ইউনুস মিঞার (মোটরসাইকেল প্রতীক) লোকজন ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।


তবে অভিযোগটি অস্বীকার করে ইউনুছ মিঞা জানান, শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়নটির ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৮ হাজার ভোটার আছেন। এই ভোটারদের মধ্যে মোটরসাইকেলের সমর্থক বেশি। তাই ভোটকেন্দ্র খালি করতে একচেটিয়াভাবে ককটেল ফাটিয়ে কেন্দ্রে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন আনারসের কর্মী-সমর্থকেরা।

ককটেল বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিয়া। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের বেশ দূরে ককটেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।