কিশোরগঞ্জে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সদর থানার ওসি প্রত্যাহার

কিশোরগঞ্জের শ্রীশ্রী জিউর আখড়ায় দুর্গাপূজার ৭টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দৃর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরের মণিপুরঘাট রোডেছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তরিকুর ইসলাম গত ১৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তাঁর জায়গায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামল মিয়াকে। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বত্রিশ এলাকায় শ্রীশ্রী গোপীনাথ জিউর আখড়ার দুর্গাপূজার সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

কিশোরগঞ্জ জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ দত্ত জানান, মন্দিরের সেবায়েতরা রাত চারটা পর্যন্ত সজাগ ছিলেন। পরে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে সব কটি প্রতিমা ভাঙচুর করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুন

প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়ে সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জেলা কালেক্টরেট মিলনায়তনে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় হিন্দুধর্মের নেতারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক সমস্যার কারণে সদর মডেল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।