বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এ সময় বরগুনা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতা–কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয় শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বরগুনা পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ধীরেন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘এই মহররম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন, তার বাবা-চাচা বিএনপির নেতা ছিলেন। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগকে পিটিয়েছেন। শুধু বদলি করলেই সব ভুলে যাবেন তাঁরা। মহররমের বরখাস্ত এবং বিচার চান সংসদ সদস্য।’
ধীরেন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘কালকের (সোমবার) ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের ছেলেদের কোনো দোষ ছিল না, তবুও নির্বিচারে পেটানো হয়েছে তাঁদের। মহররম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ এমন জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চাই। এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার সব ভার বহন করবে জেলা আওয়ামী লীগ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব মৃধা। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন, পৌর মেয়র কামরুল আহসান, সাংগাঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার প্রমুখ।
সোমবার বরগুনায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের শোকমিছিলে আরেকটি পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে এ ঘটনার সময় ইটপাটকেলে পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগের ওই পক্ষকে নিবৃত্ত করতে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনেই পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনা ঘটে। এ সময় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও কর্তব্যরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এ ঘটনা তদন্তে গতকাল রাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।