নোয়াখালীতে থানায় থানায় নির্মাণ করা হচ্ছে নিরাপত্তাচৌকি

নোয়াখালী নয়টি থানার প্রতিটির ফটকে নির্মাণ করা হচ্ছে নিরাপত্তা চৌকি। আজ দুপুরে সুধারাম মডেল থানা থেকে তোলাছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালী জেলার নয়টি থানার সব কটির ফটকে নিরাপত্তাচৌকি নির্মাণ করছে জেলা পুলিশ। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস ঘটনা চলাকালে দেশের বিভিন্ন এলাকার থানায় হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার সুধারাম (সদর) থানাসহ বিভিন্ন থানায় নিরাপত্তাচৌকির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে সুধারাম থানা ঘুরে দেখা গেছে, জেলা শহর মাইজদীর চৌমুহনী-মাইজদী চার লেন সড়কের পাশের থানা কমপ্লেক্সে প্রবেশপথের ফটকের ডান পাশে একটি নিরাপত্তাচৌকি নির্মাণ করা হচ্ছে। ফটক মাড়িয়ে একটু সামনে এগোতেই দেখা যায় থানা ভবনের একতলার বারান্দার ছাদে নির্মাণ করা হচ্ছে আরেকটি নিরাপত্তাচৌকি। দুটি চৌকির প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মূল ফটকে নির্মাণাধীন নিরাপত্তাচৌকির দুই পাশের দেয়ালের মাঝামাঝি বাইরের দিকে এবং একতলার ছাদের ওপর নির্মাণাধীন নিরাপত্তাচৌকির সামনের দিকের দেয়ালে অস্ত্র তাক করে রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে বাইরের দিক থেকে কেউ থানায় হামলা চালানোর চেষ্টা করলে সহজে প্রতিহত করা যায়।

হঠাৎ থানার ফটকে ও ভেতরে নিরাপত্তাচৌকি নির্মাণের কারণ কী? জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমত, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা আক্রান্ত হওয়ায় থানার নিরাপত্তার বিষয়টি জেলা পুলিশের বিবেচনায় এসেছে। দ্বিতীয়ত, ১৯ জুলাই থানার কয়েক শ গজ দূরে শহরের মোহাম্মদীয়া মোড় এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশকে ফাঁদে ফেলে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী থানায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু গোপন তথ্যে বিষয়টি তাঁরা টের পেয়ে যান। এতে ওই পরিকল্পনায় তারা সফল হতে পারেনি। এসব দিক বিবেচনায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান থানার ফটকে এবং ভেতরে দুটি নিরাপত্তাচৌকি নির্মাণের নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নোয়াখালীর প্রতিটি থানায় কোথায়ও একটি কোথায়ও দুটি করে নিরাপত্তাচৌকি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি নিরাপত্তাচৌকিকে সুরক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে। নিরাপত্তাচৌকিতে এক বা একাধিক অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। থানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।