ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হকের অস্থাবর সম্পদ বেড়ে ৮৬ গুণ
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার ৫১২ টাকায়। অর্থাৎ ১৫ বছরের ব্যবধানে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে প্রায় ৮৬ গুণ হয়েছে। একই সময়ে তাঁর আয় বেড়েছে ৩২ গুণ।
নবম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হলফনামায় যে হিসাব দিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করে প্রতিমন্ত্রীর আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির এই চিত্র পাওয়া গেছে।
ফরিদুল হক খান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসন থেকে ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য হন।
২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা। এতে ১৫ বছরের ব্যবধানে প্রতিমন্ত্রীর প্রায় ৩২ গুণ আয় বেড়েছে। কৃষি খাত, অ্যাপার্টমেন্ট-ভাড়া, ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, মৎস্য খাত ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সম্মানী থেকে তাঁর এই আয় হয়। ২০০৮ সালে কৃষি ও ব্যবসায় প্রতিমন্ত্রীর ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা আয় ছিল।
এবারের হলফনামায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া স্থাবর সম্পদ হিসেবে ২ দশমিক ৩২ একর কৃষি ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ অকৃষি জমি দেখিয়েছেন ফরিদুল হক খান। তবে এই সম্পদের মূল্য কত, তা উল্লেখ করেননি। ২০০৮ সালে তাঁর নিজের কোনো গাড়ি না থাকলেও এবার ৬১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি আছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের স্বর্ণ ছিল ১৫ তোলা। মূল্য ধরা হয়েছিল ৬৫ হাজার টাকা। এবারের হলফনামাতেও একই পরিমাণ স্বর্ণের একই দাম ধরা হয়েছে।
২০১৮ সালে ফরিদুল হক খানের অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৮ টাকা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকা। গতবার নির্বাচনের সময় তাঁর হাতে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থাকলেও এবার তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে জমা দেওয়া হলফনামায় তাঁর হাতে নগদ ৩ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৬ টাকা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের স্ত্রীর গয়না ছিল ৩০ তোলা। ১৫ বছর পরও তাঁর স্ত্রীর গয়না একই পরিমাণ আছে। ২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর অস্থাবর-স্থাবর সম্পদ ছিল ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর-স্থাবর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ টাকা।
নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের স্ত্রীর নামে নগদ টাকা ছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। গতবার নির্বাচনের সময় তাঁর হাতে ১৫ হাজার টাকা থাকলে এবারের হলফনামায় তাঁর স্ত্রীর নামে নগদ ৪১ লাখ ৫ হাজার ২৭৯ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।