রাঙ্গুনিয়ায় নেমে গেছে পানি, ভেসে উঠছে ক্ষত

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের রাজারহাট-ধামাইরহাট সড়কের মাঝে ভাঙন। গতকাল বিকেলে তোলাছবি প্রথম আলো

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের পানি নেমে গেছে। উপজেলার মূল সড়কসহ ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অন্তত ২০টি সড়ক অচল হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে বলে জানান বাসিন্দারা।

বন্যায় ডুবে যাওয়া পুকুর থেকে মাছ ভেসে গেছে। সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার কয়েকটি জায়গায় পানি নেমে গেলেও শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত গুমাই বিলের রোপা আমন ধানখেত পানির নিচে। আরও কয়েক দিন পানি থাকলে আমন চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল কান্তি চাকমা বলেন, প্রাথমিকভাবে কয়েকটি ইউনিয়নের ৪০টি কাঁচা বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ পরিবারকে দুই টন চাল, শুকনা খাবার ও খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। পুরো উপজেলা ও পৌর এলাকার ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করতে একটু সময় লাগবে।

উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম বলেন, উপজেলার একটি মূল সড়কসহ অভ্যন্তরীণ অন্তত ১৫টি সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে বালুর বস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, দেশের শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত গুমাই বিলের ৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে ডুবে গেছে। তবে এবার বেশির ভাগই বন্যা সহনশীল জাতের চারা লাগানো হয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি পানি থাকলেও এসব চারার কোনো ক্ষতি হবে না। বিল থেকে পানি যাতে দ্রুত নেমে যায়, সে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবারকে শুকনা খাবারের পাশাপাশি চাল দিয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া কোনো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব ঘর মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।’