হত্যা ও অপহরণের দায়ে ৩ জনের ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

এক কিশোরীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে ৩ ব্যক্তিকে ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।

সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘরিয়া গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে মো. মনির (৩১), নুর ইসলামের ছেলে মো. সেলিম (৩৩) ও বাদশার ছেলে মো. শরিক (৩১)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালতের শুরুতে বিচারক রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনান। এ সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় আদালত আসামি মনিরকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার দায়ে অন্য আসামিদেরও যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। একই সঙ্গে সম্পা খাতুনকে অপহরণের দায়ে তাঁদের প্রত্যেককে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, সেলিম নামের এক যুবক ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যা ৭টায় আসামিরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। ৬ জুন ওই ছাত্রীর লাশ সদর উপজেলার বনবেলঘরিয়া গ্রামের একটি রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা সদর থানায় ১৭ জুন তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।

মরদেহের সুরতহাল করে মামলাটিতে ধর্ষণ ও হত্যার ধারা সংযুক্ত করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে আদালতে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে ধর্ষণের অভিযোগ বাদ দিয়ে আদালেতর বিচারক আজ অপহরণ ও হত্যার দায়ে ৩ আসামিকে ৪৪ বছর করে কবারাদণ্ড দেন।