পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা

বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় এম ওয়াজেদ আলী (৬৮) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। পাটগ্রাম পৌরসভার নিউ পূর্বপাড়ায় শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ড ছিলেন। তা ছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর প্রয়াত বড় ভাই আবিদ আলী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য। পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন তাঁর ভাগনে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত নয়টার কিছুক্ষণ পর এম ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম পৌর বাজার থেকে নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভাগনে রুহুল আমিনের বাসা ও তাঁর বাসার দূরত্ব ৫০ থেকে ৬০ গজ হবে। তিনি নিজ বাসার সীমানা প্রাচীরের ফটকের সামনে পৌঁছামাত্র দুর্বৃত্তরা তাঁর পথরোধ করেন এবং মাথায়, গলায় ও কাঁধে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা ওয়াজেদ আলীকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁর লাশ নিজ বাসভবনে আনা হয়।

এম ওয়াজেদ আলীদের একই বাড়িতে বসবাস করা তাঁর ভাতিজির স্বামী আশরাফুল হাবিব বলেন, ঘটনার সময় তিনি একটি শব্দ পান। এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখেন ওয়াজেদ আলী ফটকের সামনে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। আরেক প্রতিবেশী ইয়াকুব আলীও একই কথা বলেন। তবে তাঁরা কেউই দুর্বৃত্তদের দেখতে পাননি বলে জানান।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ওয়াজেদ আলীল মরদেহ শনিবার সকালে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।

ওসি আরও জানান, হামলার স্থানে ওয়াজেদ আলীর চাদর ও চশমা পড়ে রয়েছে। থানা-পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে। রাত এগারোটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লালমনিরহাট বি-সার্কেলের (হাতীবান্ধা) সহকারী পুলিশ সুপার ফরহাদ ইমরুল কায়েস।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন তাঁর মামার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।