খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী চার দিন ধরে নিখোঁজ
খুলনায় সরকারি হাজী মোহাম্মদ মুহসীন কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী কদরুল হাসান চার দিন ধরে নিখোঁজ। গত বৃহস্পতিবার তিনি খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গার সোনার বাংলা গলির বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।
এ ঘটনায় কদরুল হাসানের স্ত্রী সাঈদা খাতুন সোনাডাঙ্গা ও খুলনা সদর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ছাড়া তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুণ্ডু আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, কদরুল হাসানের সর্বশেষ অবস্থান নগরের ময়লাপোতায় পাওয়া গেছে। সেখান থেকে তিনি কোথায় গেছেন, সেটি জানা সম্ভব হয়নি। তার খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। জিডি করার পর একজন উপপরিদর্শক (এসআই) তদন্ত করছেন। খোঁজ পেতে প্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
সাঈদা খাতুন বলেন, তাঁর স্বামী (কদরুল) পড়াশোনার পাশাপাশি শেখপাড়া এলাকায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম চাকরি করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের কাজেও নগরের ময়লাপোতা এলাকায় কাজ করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে তাঁর স্বামী বাসা থেকে বের হন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তখন তিনি জানিয়েছিল, বন্যার্তদের ত্রাণের কাজে ব্যস্ত আছেন। দ্রুত বাসায় ফিরবেন। পরে আর বাসায় ফেরেননি। রাত ১১টায় ফোন দিলেও কল রিসিভ করেননি। এর পর থেকে ফোন বন্ধ।
সাঈদা খাতুন আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অগ্রসেনানীর ভূমিকা রেখেছেন আমার স্বামী। আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। এ অবস্থায় আমরা পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন।’