খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া করে শেখ হাসিনা এখন দেশছাড়া: এমরান সালেহ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে সুকৌশলে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপির শিকড় মাটির অনেক গভীরে, জনগণের হৃদয়ের মণিকোঠায় বিএনপির অবস্থান। ইচ্ছা করলেই ফুঁ দিয়ে বিএনপিকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। অন্যায় ও অবৈধভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত বাড়িছাড়া করে শেখ হাসিনা নিজেই এখন দেশছাড়া এবং প্রভুর দেশে আশ্রিতা।
আজ শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের যৌথ কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঘোষগাঁও বাজারের ধানমহালে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা এবং হাসিনা সরকারের ফরমায়েশি সাজা বাতিল না হওয়ায় জনগণ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত উল্লেখ করে সৈয়দ এমরান সালেহ অবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ওই সব মামলা, সাজাসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের সব মামলা প্রত্যাহার দাবি করেন।
এমরান সালেহ বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। অতীতে কোনো ষড়যন্ত্র তাঁকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে পারেনি। তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে গিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শুধু পতনই ঘটেনি, রাজনীতি এবং দেশ থেকেও মাইনাস হয়ে গেছে।
এমরান সালেহ বলেন, হাজার হাজার ছাত্র–জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে কবরে পাঠিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কবরে ঢুকে গেছে। মাইক্রোস্কোপ দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের অপরাজনীতির কবর রচিত হয়েছে। তারা দেশ–বিদেশে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থেকে বাংলাদেশ ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছে।
নেতা-কর্মীদের দ্রুত নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনে আবারও রাজপথে থাকার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান এমরান সালেহ। তিনি বলেন, জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ গড়ে হাজার হাজার ছাত্র–জনতার রক্তের ঋণ পরিশোধ করা হবে।
কর্মী সমাবেশে ঘোষগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.শাজাহান সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, ফরহাদ রাব্বানী, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আল রাজি, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।