কুষ্টিয়ায় কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের সময় যুবক আটক

কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র

কুষ্টিয়ায় কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর মাগুরা এলাকার মহাশ্মশান কালীমন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপারেশন ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আটক যুবকের আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তারপরও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার সবাই শান্তিপ্রিয় মানুষ। এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আটক যুবকের নাম আলী নুর (২৪)। পুলিশ বলছে, আলী নুর ভবঘুরে। পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে তাঁর নানাবাড়িতে থাকেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাধব সাহার ভাষ্যমতে, গতকাল রাতে তিনি মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পান এক যুবক কালীমন্দিরের গ্রিলের মধ্যে বাঁশের লাঠি ঢুকিয়ে প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করছেন। যুবকটি প্রথমে একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে কালীপ্রতিমাগুলো গ্রিলের কাছে টেনে আনেন। পরে ভাঙচুর করতে থাকেন। মাধব সাহা প্রথমে মুঠোফোন ক্যামেরায় এ দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

উত্তর মাগুরা মহাশ্মশান কালীমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার অধিকারী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এই ছেলেকে এর আগে কখনো এলাকায় দেখাও যায়নি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন।’

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব বিশ্বাস বলেন, মন্দিরের আশপাশে কম লোকজনের বসবাস। কিছুদিন আগেই সেখানে কালীপূজা হয়েছে। সেই প্রতিমা বাঁশের লাঠি দিয়ে টেনে নিয়ে ভাঙচুর করেছেন। এর পেছন থেকে কারও ইন্ধন আছে কি না, সে বিষয়েও খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।