‘দলীয় কাজে ব্যস্ত’ বলে সময় নিলেন সংসদ সদস্য জাফর

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তাঁর স্ত্রী শাহেদা বেগম
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিতে আজ রোববার দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ে ডেকেছিল সংস্থাটি। কিন্তু দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে তিনি দুদকে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

সংস্থাটি ২০ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করে দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে তাঁদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছেন। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে তাঁদের সম্পদের বিবরণ দিতে হবে। তদন্তে অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

দুদকের সমন্বিত কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সংসদ সদস্য জাফর আলম নিজ এলাকায় (চকরিয়ায়) দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত আছেন। কেন্দ্র থেকে দলীয় কর্মসূচির তারিখ পূর্বনির্ধারিত বলে হঠাৎ পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি সময় চেয়ে দুদকে আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে ২০ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংসদ সদস্য জাফর আলম, তাঁর স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন ও মেয়ে তানিয়া আফরিনকে ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ে হাজির হয়ে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আজ চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন থাকায় সংসদ সদস্যের দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগম চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। স্কুলশিক্ষক থেকে শাহেদার রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া নিয়ে সম্প্রতি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি করেছেন।

দুদকের নোটিশে সরকারি জমি, চিংড়ির ঘের, জলমহাল দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে শাহেদা বেগম কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।

তবে অভিযোগের পর শাহেদা বেগম দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। শাহেদা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘একজন নারীর পক্ষে সরকারি জমি, চিংড়ির ঘের, মাদক কারবার ও চাঁদাবাজি করা কীভাবে সম্ভব?’

স্ত্রীর সম্পদের অনুসন্ধানকে ‘চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছিলেন সংসদ সদস্য জাফর আলম। তবে দুদকের তদন্তে তাঁর সহযোগিতা থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।