বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর-লুটপাট: ভৈরবে নাজমুল হাসানসহ ১৪০ জনের নামে মামলা

নাজমুল হাসানপ্রথম আলো ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগে সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসানকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। ভৈরব পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলম সরকার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার ভৈরব থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪০ নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুল হাসান (পাপন) কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে টানা চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোল্লা সাখাওয়াত হোসেন, সহসভাপতি সেলিম খান, সাবেক সহসভাপতি মির্জা সুলায়মান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত উল্লাহ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক খলিলুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল হেকিম রায়হান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অরুণ আল-আজাদ, ইকবাল হোসেন, আরমান উল্লাহ, পৌর যুবলীগের সভাপতি ইমন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমির হামজা, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ছালেম রহমান মিকদাদ, পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোমেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলী, ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকায় অবস্থিত বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির উপসাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলমের বাংলো ঘর আছে। এটি বিএনপির উপজেলা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। গত ১৯ জুলাই বিকেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। তখন তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন ও গুলি ছোড়েন। এ ঘটনায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলা চালান।

মামলার বিষয়ে জানার জন্য মুঠোফোনে ফোন করে নাজমুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ভৈরব পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদের মুঠোফোনে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।